নিরাপত্তা ব‍্যবস্থা জোরদার করতে বিশেষ নজর জংশন স্টেশনে : বসছে স্ক‍্যানার মেশিন

25th September 2020 4:05 pm বর্ধমান
নিরাপত্তা ব‍্যবস্থা জোরদার করতে বিশেষ নজর জংশন স্টেশনে : বসছে স্ক‍্যানার মেশিন


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) : সম্প্রতি আল কায়েদা জঙ্গী সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় ফের খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বর্ধমানের খাগড়াগড়ের ২০১৪ সালের অভিশপ্ত সেই স্মৃতি। বর্ধমান ষ্টেশনকে নিশ্চিন্ত করিডর বানিয়ে খাগড়াগড়ে জঙ্গী ডেরা তৈরী করেছিল জেএমবি সদস্যরা। ২০১৪ সালের দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন ভয়াবহ বিস্ফোরণ এবং পরে ২ জঙ্গীর মৃত্যুর ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়ে যায় আলোড়ন। এরপরই বর্ধমান ষ্টেশনকে আরও সুরক্ষিত করার দাবীও জোড়ালো হয়ে ওঠে। মাঝে মাঝে ষ্টেশনে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিং করার মত কিংবা পুলিস কুকুর দিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার কাজ করা হলেও তা যে নিতান্তই লোক দেখানো ব‌্যাপার হয়ে চলেছে তা বারবারই সমালোচিতও হয়েছে। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে আই. এস. জঙ্গী বীরভূমের বাসিন্দা মহম্মদ মসিউদ্দিন ওরফে মুশাকে ট্রেনে বর্ধমান ষ্টেশ থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি আল কায়েদা জঙ্গীদের কাজকর্ম প্রকাশ্যে আসতেই নড়চড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রেল কর্তৃপক্ষও। গত প্রায় ১ বছর ধরেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশনগুলিতে আরও যাত্রী নিরাপত্তা দিতে এবং সুরক্ষার প্রশ্নে পূর্ব রেল আই.এস.এস. বা ই্ন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি সিস্টেম চালু করে। আর তারই অঙ্গ হিসাবে এবার বর্ধমান ষ্টেশনেও বসল লাগেজ স্ক্যানার, ৭টি মেটাল ডিটেক্টর গেট এবং নতুন করে ৮০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। উল্লেখ করা যেতে, খাগড়াগড় কাণ্ডের পরই কয়েকবছর আগেই একটি লাগেজ স্ক্যানার আনা হয় বর্ধমান ষ্টেশনে। কিন্তু আচমকাই সেটিতে আগুন ধরে পুড়ে যায়। ফলে থমকে যায় বর্ধমান ষ্টেশনের নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টির কাজ। এরপর চলতি লকডাউন পর্বের মাঝেই ধাপে ধাপে শুরু হয়েছে এই সমস্ত অত্যাধুনিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত যন্ত্রাংশ বসানোর কাজ। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পূর্ব রেল যাত্রীদের আরও নিরাপত্তা দিতেই এই আই.এস.এস. চালু করেছে। গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশন যেগুলিতে প্রতিদিন যাত্রী যাতায়াত বেশি সেগুলিকেই প্রথম ধাপে নজর দেওয়া হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে লাগেজ স্ক্যানার, সিসিটিভি ক্যামেরা বা মেটাল ডিটেক্টর মেশিন বসানো হচ্ছে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।